একটি ডিম সিদ্ধ করে নিন। এখন খাওয়ার উদ্দেশে বসে যান আর শিখে নিন জিওলজি। এখন গোটা ডিমটিকে পৃথিবীর সাথে তুলনা করুন। ডিমের খোসাটা হচ্ছে ক্রাস্ট যা শক্ত ধরনের। খোসাতে দেখুন দুটি স্তর আছে। উপরের স্তর আপার ক্রাস্ট আর নিচের স্তর লোয়ার ক্রাস্ট। ডিমের সাদা অংশ যা খোসার নিচে থাকে সেটা হচ্ছে ম্যান্টেল। এই সাদা অংশটি নরম। অর্থাৎ ম্যান্টেলের অংশটি গলিত পদার্থ দিয়ে গঠিত। খুব ভাল করে দেখলে বুঝতে পারবেন ডিমের এই সাদা অংশকেও দুই স্তরে ভাগ করা যায়। এর উপরে স্তর আপার ম্যান্টেল এবং নিচের স্তর লোয়ার ম্যান্টেল। এবার দেখুন ডিমের কুসুমটি সাদা অংশের চেয়ে শক্ত। এই শক্ত অংশ অর্থাৎ কুসুমটিই হচ্ছে কোর। কুসুমের উপরের অংশে একটু গলিত ভাব থাকে। এই স্তরটি আউটার কোর। আর ভিতরের অংশটি শক্ত। এটি ইনার কোর।
এতক্ষণে পৃথিবীর গঠন শিখে ফেলেছেন। কিন্তু ডিমটি নিশ্চই একেবারে মুখে দিয়ে অভদ্রের মত খেয়ে ফেলেননি। নিশ্চই ভদ্রভাবে কেটে কেটে খাবেন। আর কাটতে কাটতে আপনি শিখবেন জিওলজিক্যাল স্ট্রাকচার। ডিমটি পিরিচের উপর এমন ভাবে রাখুন যেন ডিমের দুই মাথা হরিজন্টালি থাকে। এবার ডিমটিকে মাঝ বরাবর ভার্টিক্যালি কাটুন। এখন ডিমের প্রত্যেক টুকরোই এক একটি ফোল্ডেড স্ট্রাকচার। এবার একটি টুকরোকে এমন ভাবে রাখুন যেন এর মাথাটি উপরের দিকে খাকে আর সমান অংশটি নিচের দিকে থাকে। যে স্ট্রাকচার দেখছেন সেটি ডোম। আবার ডিমটিকে হরিজন্টালি কাটলে উপরের অংশ এন্টিক্লাইন আর নিচের অংশ সিনক্লাইন।
No comments:
Post a Comment