ট্যুরে যাওয়ার আগে (না পড়লে পস্তাইবে)


আমরা আমাদের যে কোনো কাজকে উপভোগ্য করতে পারিনা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অভাবে। তাই আমি এবার কিছু টিপস দিবো যা সফরকে করবে অনাবিল আনন্দময় এবং ক্লান্তিহীন ।

আমার বিশ্বাস, আমি এ পর্যন্ত যতগুলো সফর করেছি কেউ এতগুলো করেনি। স্বভাবতই অভিজ্ঞতার ঝুলিটা একটু বড়।
এই সফরের মধ্যে ছিলো...
  • Short journey
  • Long Journey
  • বিয়ে বাড়ির নেমন্তন্ন
  • দুরের আত্মীয় স্বজনের বাড়ি
  • এক দিনের যাতায়াত
  • দুই দিনের যাতায়াত
  • তিন দিনের সফর
  • ৫ দিন, ৭ দিনের সফর
  • ১ চিল্লা মানে ৪০ দিনের সফর
  • তিন চিল্লা মানে ১২০ দিনের সফর
  • চাকুরির পরীক্ষা
  • ক্লাব ভিজিট
  • পিকনিক
  • ট্রেনিং/ ওয়ার্কশপ
  • শিক্ষা সফর সমগ্র
  • পুরষ্কার গ্রহণ ইত্যাদি।
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, আমার বাংলাদেশ চষে বেড়ানোর অভিজ্ঞতার আলোকে কিভাবে আমরা আমাদের তিতাস ট্যুর উপভোগ্য করতে পারি তা বলবো।
আমাদের এ ট্যুর যাওয়া- আসা+ মাঝে একদিন।

প্রথমেই আমি বলবো একটা লিস্ট করতে। তাহলে লিস্ট শুরু হয়ে যাক। ।
  1. ব্যাকপ্যাক ।
  2. দুই সেট পরিস্কার পরিধেয় বস্ত্র। (একটা রাফ ইউজ, একটা ফর্মাল)
  3. মানিব্যাগ/ পার্স (টাকাসহ- অনেকেকেই দেখেছি মানিব্যাগ/পার্স আছে কিন্তু টাকা-পয়সা নাই)
  4. মোবাইল (নিত্যসঙ্গি)
  5. আইডি কার্ড
  6. ঘড়ি (নষ্ট হলেও সমস্যা নেই;জাস্ট স্টাইল;  সময় দেখে কয়জনে, মোবাইল আছে না)
  7. রুমাল (ভদ্রতা)
  8. চশমা/সানগ্লাস (একটা চোখের , একটা মাথার )
  9. হাল্কা গামছা (হাত মুখ ধুয়ে কোথায় খুঁজবে )
  10. ব্রাশ-টুথপেস্ট (একদিন হলেও লাগবে)
  11. ওষুধ-পত্র (লাগবে)
  12. ছাতা/হ্যাট (হ্যাটে কি আর রোদ থেকে বাঁচা যায়, সম্ভব হলে ছাতা নাও)
  13. নোটপ্যাড+কলম (ডিজিটাল নোটপ্যাড রাখতে পারো, কলম লাগবে না। এক্সট্রা কলম নিও যদি কালি শেষ হয়... হি... হি... )
  14. হাল্কা খাবার (এটাও নাগবে... আশা কইরোনা... )
  15. পানির পট (লুকিয়ে রাখবা)
  16. টিস্যুপেপার (নো কমেন্টস)
  17. আয়না-চিরুনি (ছেলেরাও রাখতে পারো... )
  18. মাস্ক (ধুলোবালূ থেকে রক্ষার জন্য)
  19. একটি চাদর/ শীতের কাপর
  20. ক্যামেরা (সবার পক্ষ থেকে কমপক্ষে একটা )
তো , আমাদের লিস্ট হয়ে গেলো। এখন যা করনীয়-
  1. আগেই কনফার্ম হওয়া যে গাড়ি ছেড়ে দিবে কয়টায়। এ অনুযায়ী প্রস্তুত হওয়া।
  2. সঠিক সময়ে উপস্থিত হওয়া। (তাই বলে আগে সিট নেয়ার জন্য সকালে যাওয়ার দরকার নেই{ফান})
  3. জার্নিতে পড়তে হয় রাফ/ইজি কাপর। কেনোনা, বাসে উঠাবসা, বাসের ধুলোবালূতে ভালো কাপর ভালো থাকে না। যদি নিশ্চিত হওয়া যায় যে, বাস থেকে নামার পর কাপর চেঞ্জ করার যথেষ্ট সময় ও পরিবেশ দেয় তাহলে ইজি কাপর পরাই ভালো, নচেৎ ফাইনাল কাপর পড়া। মেয়েরা রাফ কাপর হিসেবে বোরকা ইউজ করতে পারে।
  4. ব্যাকপাকে লিস্টেড জিনিসগুলো রাখা। 
  5. গাড়িতে রাতে এবং ভোরের দিকে ঠাণ্ডা লাগতে পারে। এজন্য একটি চাদর বা ব্লেজার রাখা। 
  6. অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছে, সেই প্রয়োজনীয় ওষুধগুলো রাখা। আবার অনেকে জার্নিতে বিভিন্ন সমস্যা হয়, এধরনের ওষুধও রাখা।
    যেমনঃ মেট্রো গ্রুপ, প্যারাসিটামল গ্রুপ।
  7. অনেকেই vomit করে, এজন্য রাখতে পারে Polythene.

সব কিছু ঠিক থাকলেও একটা জায়গায় একটু সমস্যাতো সকলেই ফেস করে। আর তা হলো সামনে আসন নেয়ার ব্যাপারে। এটা শুধু আমাদের সমস্যা না। এটি জাতীয় সমস্যা। সংসদেও সামনে আসন না পেলে ওয়াক-আউট হয়। আর আমাদেরতো স্বাভাবিক।

আমার মাথা ঘোরে, আমার বমি হয়, আমার বুক ধরপর করে, আমার পাঁজরে ব্যাথা কত্ত অজুহাত সামনে বসার জন্য। এর কোনোটা সত্যি হলেও কেউ ছাড় দিতে রাজি নয়।

আমরা এ সমস্যা নিরসনে একটা সহজ উপায় অবলম্বন করতে পারি। এতে সকলেই সমান সুযোগ পাবে। আর তা হলো লটারির ব্যবস্থা করা
এতে কেউ দ্বিমত পোষণ করবেনা। আবার ফিরে আসার সময় হবে Reverse. অর্থাৎ আসার দিন সামনে যারা বসেছিলো তারা বসবে পিছনে। তাহলে সবাই সমান অধিকার পেলো।

তবে এখানে আরেকটা কথা থেকে যায়। আমরা তো মেয়েদের সামনেই বসার সুযোগ দিবো, কিন্তু যখনেই সমান অধিকারের প্রশ্ন আসে তারাও লটারির মধ্যে চলে আসে। সমানাধিকার তত্ত্ব এরকম অনেক জায়গাই ফেল মারে।

অন্যান্য পোস্টঃ
চাকরির বাজারে জিওলজি কোথায়?
তিতাস থেকে ফিরেঃ অভিজ্ঞতা ও একটি প্রশ্নপত্রের ড্রিলিং