পাঞ্জা

বুড়ো মানুষ দেখলেই কিছু কিছু বিচ্ছু ছেলে আছে, জ্বালাতন শুরু করে। নানা রকম পদ্ধতি তে।
আমার এক পরিচিত বৃদ্ধ মানুষ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন, কিছু ছেলে হাজির হল।
'ও দাদু ,কোথায় যাচ্ছেন? 'তারা জিজ্ঞেস করল।
দাদু উত্তর দিলেন না। আবার তারা জিজ্ঞেস করল। এবারও তিনি নিরুত্তর।
তাদের মধ্যে একজন বললে, 'দাদু বোধহয় সামনে মেয়ে দেখে আমাদের ভুলে গেছে।'
রাস্তা দিয়ে সত্যিই তখন কয়েকটি মেয়ে যাচ্ছিল।
দাদু এবার মুখ খুললেন, 'বাবা রা সব ,আমায় জ্বালাতন করবেনা।'
একটি ছেলে নিরীহ মুখ করে বলল, 'কোথায় জ্বালাতন করলাম। আমরা তো কেবল জিজ্ঞেস করছি কোথায় যাচ্ছেন?'
আরেকজন বলল, 'আঃ ছেড়ে দে না, দাদুর দেরি হয়ে যাচ্ছে। মেয়ে গুলো এগিয়ে গেছে।'
দাদু ছেলেটির দিকে তাকিয়ে বললেন, 'আমায় ঘাঁটিয়োনা ,আমি তোমাদের মতই চ্যাংড়া আছি।'
ওরা হেসে উঠল।
দাদু সেই মুহূর্তে একটা ঢিল কুড়িয়ে নিলেন। তারপর সামনে থাকা মেয়েদের দলের মাঝে ঢিল টা ছুড়ে মারলেন।
মেয়ে গুলো ঘুরে দাঁড়িয়ে পড়ল।
'কে মারল ঢিল?'তারা দেখতে পেল তিন ছেলে ও একজন বৃদ্ধ লোক পেছন পেছন আসছে।
সঙ্গে সঙ্গে ছেলে গুলোর কাছে চলে গেল, 'এই তোমরা ঢিল ছুড়লে কেন?'
ছেলে গুলো হতভম্ব,তারা বুঝতে পারলনা কিছু। মেয়ে গুলোর হম্বি তম্বিতে লোকজন হাজির হয়ে গেল। ছেলেগুলোকে তখন, 'তোদের সাহসতো কম নয়, একে বারে মেরে হাসপাতাল পাঠিয়ে দেব। মেয়েদের সাথে বদমাসি?'
ছেলেগুলো প্রাণপনে বোঝাবার চেষ্টা করল,'আমরা ঢিল ছুড়িনি। আমরা কেন ছুড়তে যাব?
'তারপর দাদু কে দেখিয়ে বলল, 'ইনি করেছেন।'
দাদুর নাম নিতে লোকজন আরও খেপে গেল, 'কি বলছিস,এই বৃদ্ধ মানুষ করবেন? তোদের সাহস তো কম নয়...মিথ্যে অপবাদ দিতে তোর মুখে বাধছে না।'
ছেলেগুলোর কথা কেউ বিশ্বাস করল না। ওদের ভাগ্য ভাল, স্রেফ শাসানি দিয়ে রেহায় দেওয়া হল।
লোকজন চলে যাওয়ার পরে থমথমে মুখ হওয়া ছেলেদের বললেন, 'কিরে আর আমার সাথে পাঞ্জা লড়তে আসবি?'
ছেলেগুলোর মুখ দিয়ে কথা বেরোয় না,ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে.....

নদী না হলে

নদী না হলে

     সুমন রহমান

নারী তোমার নাম হবে না
বাঁশির সুর আর ভাসবে না
দেখা করার তীর পাবে না
ভালোবাসার ঘ্রাণ পাবে না।

কুবের কপিলার প্রেম হবে না
গল্প হবে না, ঘাট হবে না,
লম্ফঝম্পও না, সাঁতার হবে না,
ঢাপঢুপ খেলা হবে না।

ও নদীরে --- গান হবে না,
মাঝি হবে না, সুর হবে না
আমাদের ছোটনদী- ছড়া হবে না
ছোটদের পড়া হবে না।

নাব্য হবে না, কাব্য হবে না
বন হবে না, বাঘ হবে না
আইন হবে না, চুক্তি হবে না
হিস্যা হবে না, বন্ধুত্ব হবে না ।

একা থাকার সঙ্গী পাবে না
উদাস তাকানোর স্রোত পাবে না
নিজের প্রতিচ্ছবি পাবে না
আঁকাআঁকির উপাদান পাবে না।

জোয়ার হবে না, বান হবে না
পলি জমবে না, সেচ হবে না
ভাত হবে না, ডাল হবে না
শুন্য, খরায় মানুষ বাঁচবে না।

সেতু হবে না, ভীতু হবে না
ঋতু হবে না, মিনারেল হবে না
নৌকো হবে না, পাল হবে না,
ইলিশ হবে না, মাছ হবে না।

চাষ হবে না, বাস হবে না,
বাঁধ হবে না, বিদ্যুৎ হবে না
ইন্ডাস্ট্রি হবে না, চাকরি হবে না,
সাধ হবে না, বেশ হবে না

লবণ হবে না, পবন হবে না
ঢেউ হবে না, দোলা দিবে না
ধানের শিস দোল খাবে না
অপরূপ দৃশ্য হবে না।

নদীমাতৃক দেশ হবে না
যোগাযোগ রক্ষা হবে না,
যা হবে তা অল্প কথায়
বলা সম্ভব হবে না।

ভূতত্ত্ববিদ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

( আপডেটেড )
BPSC.GOV.BD নন ক্যাডার চাকুরি বিজ্ঞপ্তি  www.bpsc.gov.bd. Bangladesh Public Service Commission ( BPSC ) তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেছে। www.bpsc.gov.bd
অনেকগুলো মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আমি শুধু জিওলজির অংশটুকু দিচ্ছি। আবেদনের শেষ তারিখ ১২ মার্চ। 
BPSC Non Cadre Job Summary:
Job Title: Different Category
Published Date: February 11, 2015
Last Date Application: March 12, 2015
Job Nature: Full-time
Job Type: BPSC Non Cadre
Employment Type: Permanent
ভূতত্ত্ববিদঃ ৪ টি পদে নিয়োগ
Age Limit: Maximum Age 30 years. [Age limit for son-daughter of freedom fighters and disabled person is 32 years.]
Job Experience: Nil
Gender: Booth (Male and Female)
Application Fee: 300/-






ডাউনলোড করুন পুরো সার্কুলারটি

বানানের বারো অবস্থা - ০৪




























বানানের বারো অবস্থা - ০৩















বানানের বারো অবস্থা - ০২

















বানানের বারো অবস্থা - ০১







শব্দকল্পদ্রুম : ফাতরা, চটি

চটি 
---------
"চটি" শব্দটা শুনলেই খারাপ শব্দ মনে করি, চটি গল্প মানে খারাপ গল্প । 

চটি বই বলতে পেপারব্যাক বইও বোঝানো হয়, বাঁধানো বইয়ের থেকে দাম কম। 
লোকে নিঃসঙ্কোচে বলে চটি বই কিনলাম, অমুক সমগ্রটা কেনার ইচ্ছে ছিল, তবে দামটা বেশি । 
তবে এপারে আমরা চটি গল্প বলতে যা বুঝি ওপারে তা পানু নামে নাকী পরিচিত। 
চটি বলতে চপ্পল ও বোঝায় । 
আবার চটি বলতে হ্যান্ডনোটও বোঝায় ।


ভাষা-বৃক্ষের উৎস ও তার ডালাপালার এক চমৎকার চিত্রায়ন
ফাতরা

---------
‘ফাতরা’ শব্দের আভিধানিক অর্থ অপ্রয়োজনীয়, নিষ্প্রয়োজন, মূল্যহীন, ধাপ্পাবাজ, বাজে, হালকা, খেলো, বাচাল, বিরক্তিকর প্রভৃতি। ‘ফাতরা’ কোনো বিদেশি ভাষা থেকে আসা শব্দ নয়। আমাদের বহুল পরিচিত কলাগাছ থেকে ‘ফাতরা’ শব্দের উৎপত্তি। কলাগাছের পাতা ধরে টান দিলে পাতার সঙ্গে ফড় ফড় শব্দে যে শুকনো বাকল উঠে আসে তাকে ‘ফাতরা’ বলা হয়। কলাপাতা সংগ্রহের জন্য কলাগাছের পাতা ধরে টান দেওয়া হয় কিন্তু তৎসঙ্গে উঠে আসে অপ্রয়োজনীয় বস্তু ফাতরা। শুধু তাই নয় বাচালের মতো অর্থহীন ও ফড় ফড় বিশ্রী শব্দে সৃষ্টি করে বিরক্তি। কলাপাতা একটি প্রয়োজনীয় বস্তু, তবে তার সঙ্গে লেখে থাকা ফাতরা মূল্যহীন। কলাপাতাকে কাজে লাগাতে হলে ‘ফাতরা’ কেটে ফেলতে হয়। ফাতরা পরিষ্কার করা যেমন সময়ক্ষেপক তেমন বিরক্তিকর। ফাতরার এ অপ্রয়োজনীয় অবস্থান ও অবাঞ্ছিত বৈশিষ্ট্যকেই বাংলায় ‘ফাতরা’ শব্দে তুলে ধরা হয়েছে। এ শব্দের মাধ্যমে কলাগাছের ‘ফাতরা’ বড় ভীষণ যত্নে কলাগাছ থেকে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে নেমে এসেছে।




বই রিভিউঃ A Geology for Engineers, Seventh Edition


A Geology for Engineers, Seventh Edition

by F.G.H. Blyth  Michael de Freitas 
বইটির মূল্যঃ 23 USD $ এখানে এবং এখানে

এবং 18.23 USD $ এখানে

বইটি ডাউন লোড করুন এখানে 

শব্দকল্পদ্রুম : প্রতিবর্ণীকরণ


প্রতিবর্ণীকরণ - বিদেশি শব্দের মূল উচ্চারণের শুদ্ধতা রক্ষার জন্য যে নিয়ম বা রীতি- তাকেই বলে প্রতিবর্ণীকরণ । এর উল্লেখযোগ্য নিয়মগুলো হলো 

১) মূল শব্দের উচ্চারণে যদি 'ঈ' কিংবা 'ঊ' থাকে তাহলে বাংলা বানানে এর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে কারন হ্রস্ব বা দীর্ঘস্বর অনুসারে অর্থের পার্থক্য হয় । যেমন বিট (bit) বীট (beat) ডীন (dean) সীল (seal) ঈস্ট (east) ইত্যাদি । 

২) মূল শব্দে যদি বক্র 'অ' বা বিকৃত এ Cat-এর a থাকে তাহলে আদিতে 'অ্যা' এবং মধ্যে '্যা'হবে । যেমন অ্যাসিড (acid) হ্যাট (hat) । 
৩) 'f' কিংবা 'v' স্থানে যথাক্রমে 'ফ' এবং 'ভ' হবে । যেমন ফুট (foot) ভোট ((vote) । 
৪) 'w' স্থলে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী 'উ' এবং 'ও' লেখাই বিধেয় । যেমন উইলসন (wilson)ওয়ে (way) উড (wood) । 
৫) বিদেশি শব্দের মূল উচ্চারণ অনুসারে 's' স্থলে 'স' হবে । আসল, ক্লাস, খাস, জিনিস ইত্যাদি । বিদেশি শব্দের 's; ধ্বনির জন্য বাঙলায় 'ছ' ধ্বনি বর্জনীয় । কিন্তু যেখানে প্রচলিত বানানে 'ছ' আছে এবং উচ্চারণেও 'ছ' হয় সেখানে ছ-ই হবে । যেমন পছন্দ, মিছরি । 
৬) ইংরেজি 'sh', 'sion', 'ssion', 'tion' ইত্যাদি ধ্বনিগুচ্ছের জন্য বাংলায় 'শ' ব্যবহার করা যায় । যেমন শার্ট (shirt) ডিভিশান (division) মিশন (mission) স্টেশন(statoin) ইত্যাদি । 
৭) নবাগত বিদেশি শব্দে 'st' স্থানে নতুন যুক্তবর্ণ 'স্ট' হবে । যেমন স্টোভ (stove) স্টেশন(station) । 
৮) 'সে' 'সোয়াদ' ও 'সিন'-এর জন্য বাংলায় 'স' ব্যবহার করা হয় । যেমন সালাম, তসলিম, ইসলাম, মুসলমান ইত্যাদি । 
৯) 'শিন' ধ্বনির জন্য বাংলায় 'শ' হয় । যেমন এশা , শাবান, শরিয়ত ইত্যাদি । 
১০) আরবি 'যে', 'যাল', 'যোয়া' ধ্বনর জন্য 'য'-এর ব্যবহার করতে হবে । যেমন ওযু আযান নামায ইত্যাদি ।

বাংলাবানান ও শব্দগঠনঃ ভুল শুধু ভুল


ইদানিং আমাদের বানানের ক্ষেত্রে মারাত্মক বিশৃঙ্খলা লক্ষ্যণীয়। আমরা যে যেমন পারছি লিখে যাচ্ছি শুদ্ধবানান ভেবে। আমাদের পত্রিকাগুলোও এক্ষেত্রে হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি করে চলেছে বাংলাএকাডেমির প্রমিত বানানের অজুহাতে। একেক পত্রিকার একেক রকম বানানরীতিও গড়ে উঠেছে, যা হাস্যকর। ফলে আমাদের বানানেও ভুল খুব বেশীই (প্রমিত হবে বেশি) হয়ে যাচ্ছে আজকাল।


আমি এখানে পুরনো রীতির কিছুবানানও ব্যবহার করেছি, যা বাংলাএকাডেমির প্রমিত বানানের সাথে সবক্ষেত্রে নাও মিলতে পারে। এটা আমার ভিন্নমতের কারণেই। কারণ আমি বাংলাএকাডেমির প্রমিত বানানের সাথে সবক্ষেত্রে একমত নই। বিশেষ করে বাংলাএকাডেমির (বিশেষ্য পদ হিসেবে বাংলাএকাডেমি বানানে কিন্তু স্পেস হবেনা) বিতর্কিত বানানরীতি-প্রবর্তনের বা সংস্কারের দরুণই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে আমি মনে করি। অনেক বিতর্কই আছে এসব ব্যাপারে। ১৯৯২ সালের আগের বই-পুস্তকের বানানগুলোর সাথে প্রমিত বানানের নজির খুঁজে দেখলেই আমার কথার প্রমাণ পাওয়া যাবে। এই বিতর্ক নতুন না হলেও ১৯৯২ সালে বাংলাএকাডেমি প্রথম ”সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান’‘ প্রণয়ন করার পর একটি বানানরীতিও তৈরী করায় জটিলতা বেড়ে গেছে।

এখানে একটি কথা উল্লেখ্য যে, যারা মনে করে বাংলাএকাডেমির কলমের খোঁচায় যুগযুগ ধরে প্রচলিত এবং বোধগম্য বানানগুলো বদলিয়ে ফেলায় আগের বই-পুস্তক, দলিলে লিপিবদ্ধ বানানগুলো অশুদ্ধ হয়ে গেছে; তাদের সাথে আমি একমত নই। তাহলে রবিঠাকুর, নজরুল, জসিম, মধুসূদনসহ সবলেখকের বই-পুস্তকের বানানগুলোর কী হবে, নাকি তারা ভুল লিখেছেন বলতে হবে? প্রমিতকরণ মানে কিন্তু তা নয়। অনেককেই দেখি, তারা কাউকে আগের কোনো বানান লিখতে দেখলেই খেঁকিয়ে উঠে প্রমিতবানানের নমুনা হাজির করে বেচারাকে অপদস্ত করেই ছাড়ে। এরা রবিঠাকুর বা নজরুল জীবিত থাকলেও কি আগের বানানগুলোর লেখার জন্য তাদেরও নাজেহাল করতেন? কিংবা তাদের আগের বইগুলো এখন ছিঁড়ে-পূড়ে ফেলবেন? একটা বানানরূপ চালু হতে শতবছর লাগতে পারে, আর একাডেমি যেভাবে বানানবদলিয়ে যাচ্ছে, তাতে প্রতিবছর বাচ্চাদের পাঠ্যবই বদলিয়ে তাদের বিপাকে ফেলার মতো দশাই হবে আরকি?

মনে রাখতে হবে–বাংলাশব্দগঠন বা বানানের ক্ষেত্রে সন্ধি, সমাস, উপসর্গ, বচন, পদ ইত্যাদির ভূমিকা অপরিসীম। আমরা বড়ভাইকে অবলীলায় স্পেস দিয়ে বড় ভাই, বিমানবন্দরকে বিমান বন্দর, পাঁচটাকাকে পাঁচ টাকা, বিজয়দিবসকে বিজয় দিবস, ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় লিখে থাকি, যা ভুল। এসব নামবাচক (নাম বাচক নয়) শব্দ বা বিশেষ্যপদ (বিশেষ্য পদ নয়) একাধিক শব্দসহযোগে গঠিত হয়েছে, যা পৃথক করলে অর্থ ঠিক থাকেনা আর ব্যাকরণের নিয়মও খাটেনা (স্পেস দিয়েও লেখা চলে ''খাটে না'')।

ভাষার ব্যাকরণ তৈরি না হলে ভাষার কাঠামো ভেঙ্গে গিয়ে যাচ্ছেতাই অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে বলেই ব্যাকরণ থাকাও জরুরি। ব্যাকরণ না থাকলে বাংলিশভাষা আজ স্বীকৃতি পেয়ে যেতো এবং বাংলাভাষার অবস্থাও হতো সংস্কৃত, পালি ইত্যাদি অধুনালুপ্ত ভাষার ন্যায়। তবে ভাষা প্রবহমান জলস্রোতের মতোন যাকে বেঁধে রাখা সম্ভব নয়, মুখে মুখে এর পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন হবেই। যুগের সাথে তালমিলিয়ে যেমন নতুননতুন শব্দতৈরি হয় তেমনই এর ক্রমবিকাশ অবশ্যম্ভাবী। তখন ব্যাকরণ একে নিয়মের আওতায় নিয়ে আসতে বাধ্য হবে। যেমন-কিছুদিন আগেও ধর্ষণকারী ব্যতীত ”ধর্ষক” শবদটি অভিধানে ছিলোনা, যা এখন আমাদের ভাষার নতুনশব্দ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এ ধরণের আরেকটি নতুন শব্দ হচ্ছে-সহমত, যা ডিকশনারিতে এখনো যুক্ত হয়নি।



বাংলাভাষা একটু কঠিন হলেও এমন স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষা যে, বিশ্বে দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া ভার। তবে এর বানান আর শব্দগঠনের বেলায় একটু জটিলতা থাকলেও তা থেকে উত্তরণ অসম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যারা সাহিত্যচর্চা করি বিশেষত অনলাইনের বাধাহীন ও সম্পাদনাবিহীন জগতে, তারাও সাধারণ ও সাদামাটা বানান যে হারে ভুল লিখি এবং একটা শব্দকে ভেঙ্গে কতো টুকরো যে করি, যা আর প্রকৃত শব্দের বানান থাকেনা এবং অর্থবিকৃতিও ঘটে যায়।
অনলাইনে সেন্সরশিপ না থাকায় তারা যাচ্ছেতাই লিখে যাচ্ছে দেখে আমি একেবারেই হতাশ। লেখকরা পথপ্রদর্শকের মতো, অথচ তারাই যদি বাংলাবানানের বারোটা বাজিয়ে দেয়, ডিকশনারি না দেখে যাচ্ছেতাই লিখে যায়–ইচ্ছেমতো শব্দও বানায়(?) তাহলে যারা পাঠক-ভক্ত তারা কী শিখবে তাদের কাছে? এটা চরম লজ্জাকর বিষয়। আমি অনলাইনে ৯০% লেখকের ভুলবানান শুদ্ধ করে দিতে দিতে এখন ক্লান্ত। অনেকেই আবার যৌক্তিক ভুলটা স্বীকার না করে অযথা তর্কেও জড়িয়ে পড়ে?
তাই যারা বানানভুল লেখেন এবং ডিকশনারিও অনুসরণ করেন না, তাদের অনুরোধ করি আমার বানানসংক্রান্ত এ প্রবন্ধটা মনোযোগসহ পড়ুন এবং এ বয়সেও নতুন করে একটু ব্যাকরণচর্চা ও ডিকশনারি দেখাও শুরু করুন। তবু ভুলবানান লিখে জনগণকে বিভ্রান্ত করার এবং শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাভাষাকে অপমানের প্রয়োজন নেই।
বাংলাএকাডেমির প্রমিত বানানঃ
তারা ‘ই-কার’ আর ‘ঈ-কারের বারোটা বাজালেও (বিশেষতঃ বিদেশী শব্দে) ”শহীদ” বা ”শহীদদিবস” এবং বাংলাএকাডেমীর ”একাডেমী” বানান ঠিকই বহাল রেখেছে। কেনো তা আমার বোধগম্য নয়। আইনগত বিষয় থাকলে দালিলিকভাবে ''বাংলাএকাডেমী''র দলিল ও সাইনবোর্ডের বানানে ঈ-কার থাকতেই পারে; কিন্তু তাদের গড়া নিয়মভেঙ্গে তাদের অভিধানেই বা তা থাকবে কোন যুক্তিতে? বাংলাএকাডেমির বাংলাঅভিধানের ১৯৯৮ সালের প্রথম পুনর্মুদ্রণেও এ পুরনোরীতির বানানই বহাল রয়েছে। পরবর্তীতে আইনবদল করে ''একাডেমী'' বানানটি অবশ্য বদলিয়ে ফেলাও হয়েছে।
অধিকাংশ দেশীশব্দের বানানে ঢালাও ই-কার ব্যবহারের রীতি চালু করায় যেমন সমস্যা তৈরী তৈরি হচ্ছে; তেমনই অনেক একই শব্দের একাধিক বানানও তৈরী (প্রমিত হবে তৈরি) করা হয়েছে। এখানে আমি তেমন একাধিক বানানের নমুনাস্বরূপ কিছু দেখিয়েও দিয়েছি ব্রাকেটে। একই শব্দের একাধিক বানান আগেও ছিলো এবং এটা যুক্তিসঙ্গতও। যেমন-পাখি/পাখী, বাড়ী/বাড়ি, গাড়ি/গাড়ী ইত্যাদি বানান ছিলো ঈ-কার দিয়ে এবং এখনো অনেকগুলো এমন বানান বহাল থাকলেও কিছু বানানের ক্ষেত্রে একটিমাত্র রূপ নির্ধারণ করায় সমস্যা বেড়েছে। ১৯৯০ সালের আগের ঈকার দিয়ে লেখা সঠিক বানানটি এখন ভুল বলে বিবেচিত হচ্ছে। তাই একটি বানানের একাধিক অন্ততঃ ২টি বানানরূপ থাকা জরুরি বলেই আমি মনে করি। এতে ভুলবানান লেখার ভয় থাকবেনা, যেটাই লিখুক শুদ্ধ হবে। একাধিক বানানরূপওয়ালা শব্দ এবং বিশেষ কিছুশব্দ ব্যতীত সবশব্দের ক্ষেত্রেই এমন দ্বৈতরূপ থাকার দরকার নেই। এ বিষয়ে সামনে আমি বিশদ বলার চেষ্টা করবো।
তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের ঈ-কারকেও অনেকেই ‘ই-কার’ দিয়ে লিখে সঠিক বানান ভেবেই আনন্দ পাচ্ছে। যেমন অহরহ দেখছি-অঙ্গীকারকে (অঙ্গিকার), নীরবকে (নিরব) পক্ষীকে (পক্ষি), হস্তীকে (হস্তি) ইত্যাদি বানানে লিখে চলেছে। আবার এফএম রেডিওগুলো বাংলিশ নামের এক বিকৃত বাংলা চালু করেছে, যা ভবিষ্যতে ভাষার বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে বলে আমার আশঙ্কা। যদিও সম্প্রতি উচ্চআদালত কর্তৃক সর্বত্র বাংলালিখনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বাংলিশবন্ধকরণসহ, দেখা যাক কী হয়?
প্রমিতবানান বনাম ভুলবানান 
মানুষমাত্রেই ভুল করতে পারে–আমিও তার ওপরে নই। যে কারুর ভুলধরিয়ে দেয়া যেমন ভালো তেমনই তা সংশোধন করে নেয়াও উদারতার লক্ষণ। আমার লেখায় ব্যাকরণগত ভুল কিংবা যৌক্তিক ভুল থাকলে আমি মেনে নেবো। আমি এখানে কঠিন ব্যাকরণের আলোচনা নয়, কিছু সাধারণ বানান বা শব্দগঠন নিয়ে লিখবো, যা আমরা ভুলভাবে লিখে থাকি।
উচ্চারণ ও লিখনে ফারাক থাকবেন কেনো?
একসাথেই বা একনিঃশ্বাসে যে নামবাচক শব্দ বা বিশেষ্যপদ আমরা উচ্চারণ করি, তা আবার লেখার সময় একাধিক শব্দে লিখি কেনো, এটাও বিরাট ভুল। যেমন-নাবলা (না বলা নয়) কথা, নাজানা, নাশোনা, নাদেখা, নাশোকর, অকথা, লাজবাব, একসাথে, একমাত্র, একমত ইত্যাদি।
আমার মনে হয়, বানানগঠনে সন্ধি ও সমাস এর প্রভাবই খুববেশি; যেমন- কলেজের ছাত্র এর ”এর” বিভক্তি লোপ পেয়ে হবে কলেজছাত্র (ষষ্ঠি তৎপুরুষ সমাস), তেমনি সমাস এর নিয়মে বড় যে ভাই-হবে বড়ভাই, বিমান নামে যে বন্দরে-হবে বিমানবন্দর।
কিন্তু একে যদি আলাদা আলাদা করে এভাবে লেখেন বিমান বন্দর, তবে তা আর বিমানবন্দর হিসেবে একটি নামবাচক শব্দ থাকেনা। বরং হয়ে যায় আলাদা দুটো নাম বিমান একখানে আর বন্দর আরেকখানে ঠিক যেনো পৃথক দুটো জিনিস। সমাস এর বিধানানুযায়ী প্রধান যে শিক্ষক হবে প্রধানশিক্ষক একশব্দেই, যা ইংরেজী (প্রমিত হবে ইংরেজি) উচ্চারণে আলাদাভাবে হয় ”হেড মাস্টার”। তেমনই বঙ্গোপসাগর গঠিত হয়েছে -বঙ্গ, উপ, সাগর মোট এই তিনশব্দের সন্ধির নিয়মে যা বেশ শ্রুতিমধুর। অনেকেই শুনলে অবাক হবেন-এমন কিছু বাংলাশব্দ এতোই লম্বা যে, বিশ্বাসই হবেনা; যেমন- ভারতমহাসাগর (ভারতের মহাসাগর ), হ-য-ব-র-ল, শাখাপ্রশাখাযুক্ত (শাখা ও প্রশাখায় যুক্ত), জাতিধর্মবর্ণগোত্রনির্বিশেষে (জাতি ও ধর্ম ও বর্ণ ও গোত্রকে নির্বিশেষে), মৃত্যুসংবাদপ্রাপ্তিসাপেক্ষে (মৃত্যুর সংবাদকে প্রাপ্তির সাপেক্ষে) ইত্যাদি।
কিন্তু আমরা লিখতে গিয়ে একাধিক শব্দে গঠিত একটি শব্দকে স্পেস দিয়ে কতো টুকরো যে করে ফেলি। যদিও বাংলাএকাডেমী এক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত নির্লিপ্ত রয়েছে শুধুমাত্র বানানের ই-কার, ঈ-কার, র/ড়/এই জাতীয় সমস্যা ব্যতীত। ফলে আমরা ব্যাকরণ নাজানা জনগণ শব্দগঠনের এ জটিলতায় পড়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলছি। আমরা জন্মের পর ব্যাকরণ পড়ে যেমন বাংলাশিখিনি তেমনই ব্যাকরণ না জেনেও তা কিন্তু রপ্ত করা যায়।
(শাহ আলম বাদশা)

বাগর্থ কৌতুক: ১০, ১১



বাগর্থ কৌতুক/১০

========
চিড়িয়াখানা এক অদ্ভুত জায়গা। 

এখানে খাঁচার পশুরা নাকি মানুষের পাগলামি দেখে আর মনে মনে হাসে। আমাদের দেখার জন্য বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে চলে আসে।
একটা খাঁচায় লেখা : আসামি বানর। 
লেখা দেখে চমকে ওঠে পরাণ আলী। 
বানর কীভাবে আসামি হয়? আর যদি আসামি হয় তো চিড়িয়াখানায় কেন? সরকার কী তা হলে চিড়িয়াখানকে আসামিখানা বানাতে চাইছে? 
পরাণ আলী কাছে গিয়ে দেখল : বানরটা ভীষণ উগ্র। সত্যি তো এমন উগ্র হলে তো সে আসামি হতেই হবে। কিন্তু দণ্ডবিধির কত ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে?
দণ্ডবিধির কোনও ধারায় নয়। 
আসলে বানরটা আসাম থেকে আনা হয়েছে।
এ জন্য আসামি বানর।
--------------
সূত্র: রঙ্গরসে বাংলা বানান, ড. মোহাম্মদ আমীন, হাওলাদার প্রকাশনী।



বাগর্থ কৌতুক/
========
নেছার সাহেব তার শুভ জন্মদিনে শালার কার্ড পেয়ে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেন। 
দৌড়ে আসেন বউ : অন্তত আজকের দিনটা শান্ত থাক।
কীভাবে শান্ত থাকি, দেখ কী লিখেছে তোমার ভাই।
কী লিখেছে?
নেছার সাহেব কার্ডটি তুলে দেন বউয়ের হাতে : শুভজন্ম দিন।
দুলাভাইকে শুভেচ্ছা দিয়েছে, সমস্যা কী?
কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে আমরা লিখি এবং বলি ‘শুভ জন্মদিন’। কিন্তু সে লিখেছে ‘শুভজন্ম দিন’। এর মানে কি জান? ‘শুভ জন্মদিন’ বাক্য জন্মদিনের শুভেচ্ছাজ্ঞাপক। কিন্তু ‘শুভজন্ম দিন’ সন্তানসম্ভবা মাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়। যেন তিনি সুন্দরভাবে সন্তান জন্ম দিতে পারেন। আমি কি সন্তানসম্ভাবা? ছি! তোমাকে লিখলে কিছুটা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যেত। তুমিও তো এখন বাজা।
বউ বলল : আমার ভাই কিছু লিখলে তুমি ভুল ধরো। আমিও ভুল ধরতে পারি। ‘শুভ জন্মদিন’ শুভেচ্ছাজ্ঞাপক নয়।
তা হলে কী?
এ বাক্য দিয়ে, শুভ নামের একটা ছেলেকে জন্ম দিতে বলা হচ্ছে।
প্রত্যেক ভাষাতে এমন কাণ্ড দেখা যায়। ইংরেজি ভাষায় বানান বিভ্রাট সমস্যা আর মধুর, আরও মারাত্মক। একজন ভদ্রলোক তার প্রতিবেশির নিকট থেকে একটা মেসেজ পেল : Sorry Sir, I am using your wife day and night especially as you are not at home most of the time. In fact I probably use your wife much more than you do! I'm confessing this to you now because I've been feeling very guilty and I hope you will accept my sincere apologies.


সংবাদটা পেয়ে প্রতিবেশী অসুস্থ হয়ে পড়ল। তার হৃদকম্পন বেড়ে ঝড়। বিছানায় ছটফট করছে। এর কিছুক্ষণ পর আবার একটা মেসেজ এল: Sorry Sir, I made a spelling mistake! I meant your wifi.
---------

কান্না



কিছু কান্না থাকে যেটা নদীর মত সরল.
কান্না কিছু থাকে যেটা পুকুর জলে ডুব!

কিছু কান্না থাকে যেটা ঘুমের সময় আসে,
কান্না কিছু থাকে যেটা জ্বালিয়ে গেল খুব!

নদীর মত কান্না
যাদের স্রোতের মত ঢেউ,
একুল ওকূল দুকুলপ্লাবী,
খবর রাখো কেউ?

*

খবর টবর রাখার সময় নেই,
সবাই এখন ব্যস্ত নিজের কাজে,
সবাই এখন চিন্তা ধরে রাখে,
চোখের কোণে কিম্বা ভুরুর ভাঁজে!

কিন্তু তবু কান্না আসে রোজ!
রাতের ঘুমে বালিশ ভিজে শেষ,
কেউ রাখেনা নদীর খবর তাই,
ঘুমের শেষে সবাই আছে বেশ!

তাই,

কান্না বাড়ে রোজ!
আর রাতের ঘুমে তাই,
আঁকড়ে ধরে বালিশ মুখে
কান্না চাপা চাই!!



এই এখানেই লিখেছিলাম সেদিন,
বালিশ চাপা কান্না ইতিহাস,
এই এখানেই লিখছি বসে ফের,
ওজনদাঁড়ি, ভারিক্কি প্রশ্বাস!

আছে বালিশ চাপা সেই,
তাই কান্না থেমে যায়,
রাত বাড়ছে যখন রোজ,
ঠিক রাত্রি বারোটায়!

রাত, বেড়েছে চুপচাপ,
শুধু একটা দুটো গাড়ি,
দেরী করেছে নিশ্চয়,
তবু ফিরছে ঠিকই বাড়ি!

চোখ অন্ধকারে সয়ে,
খোঁজে বালিশে, আশপাশে,
কিছু অশ্রুফোঁটার পরে,
ফের ক্লান্তি নেমে আসে!

সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষমাত্রা - রচনা ও গল্প বলা প্রতিযোগিতা

আপনার বয়স যদি ২০০০ সালের এপ্রিলে হয়ে থাকে তাহলে ৫ মার্চ ২০১৫ এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করুন রচনা প্রতিযোগিতার জন্য। 

বিস্তারিতঃ http://epaper.prothom-alo.com/view/dhaka/2015-02-23/9

উড়োচিঠি

প্রাপক,

আকাশনীলা,

ঠিকানাহীন।
এই শহরে আমার কোন বন্ধু ছিল না, ছিল ছিপ নৌকার মত এক বিষণ্ণ কিশোরী, যে আমাকে মাঝেমাঝে ভালোবাসার চিঠি লিখত। তবে আমি তার ভালোবাসাকে কখনো স্পর্শ করিনি। পালকে শোকের চিহ্ন নিয়ে আজ আমি পলাতক, তুমি জানলে না!!!
আর জানবেই বা কি করে? হয়তবা তুমি ছিলেনা বলে,,,
প্রায় প্রতিটা রাত কেটেছে নির্ঘুম । চোখের পাতাগুলো যখন ক্লান্তি আর অবসাদে যখন একটা অপরটার উপর লুটিয়ে পড়ত, তখন নিদ্রা দেবীর কোলে নিজেকে এলিয়ে দিতাম। মেয়ে, তুমি জান কি, আমার ঘুমন্ত প্রহরগুলো ছিল স্বপ্নহীন, ফ্যাকাসে জীর্ণ কুটিরের মতঅবসর বেলা গুলো কিছু অর্থহীন বেস্ততায় কাটানো ছাড়া আর করার ছিল না কিছুই। অনেকের ভিড়ে একা থাকার একরাশ নিদারুণ হতাশা নিয়ে কেটে যাচ্ছিল জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত, মলিন হচ্ছিল রঙ্গিন বসন্ত। আবেগময় বর্ষার বারিধারাকে খোঁড়া রাস্তার কাদার যোগানদার ছাড়া পারতাম না আর কিছুই ভাবতে । আমি নিজের রাজ্যে ছিলাম বড় অসহায়।
তারপর, একদিন , বিবসনে মনে - কুহেলী সরিয়ে বসে, পাপ দেখা ভোরে তুমি এলে তাইক্ষণিকের তরে, আমার একাকি রাজ্যে সুখস্বপ্নেরা মেরেছিল হানা। জীবনটা তার মানে খুঁজে পেয়েছিল। সুখের আবেশ ছড়িয়ে ছিল মনের রাজ্যের প্রতিটি কোনায়। ভালোবাসাকে ভালোবাসিয়ে ছিলে, যদিও অনেকটা জোরপূর্বক ছিল। তারপরেই তো মনে হয় হারিয়ে গেলে, ঘুণপোকা খাওয়া কোন এক অবেলায়।
আর আজ, তুমি নেই বলে,,
ঠিকানাবিহীন পথে, আমার পথচলা
জানিনা শেষ কোথায়,,,,,


কথাগুলো তোমাকে কেন বলছি জানা নেই, না আছে তোমাকে হারাবার কষ্টহয়তবা তুমি কখনই আমার ছিলে না বলেই কষ্ট নেই। কখনই তো তোমাকে চাইনি, আমার একার রাজ্যে একাকী বেশ তো ছিলাম। কেন তুমি এলে? আর যখন একা করে চলে গেলে, এখন কেন আমি ভালো নেই, জান কি? থাক, আর কষ্ট নিয়ে জানতে হবেনা, কারন কোন উত্তর তুমি দিতে পারবে না। আর যেদিন পারবে সেদিন উত্তর শোনার জন্যে হয়ত আমিই থাকব না।
সুখে থেক, অনেক সুখে, যতটা কষ্টে বেঁচে আছি, তারচেয়েও অনেক বেশী সুখে। যার বেশী কেউ থাকেনি কখনো।
প্রেরক,
সেই অচেনা নিশাচরের দেবতা,,,,,

সর্বংসহা ফেসবুক


কথাগুলো ব্যথা হয়ে
বুকের মধ্যে জমানো
নিশিদিন ভাবছি তাই
কি করে যায় কমানো।
মনের কথা তোমায় ক
হারিয়ে ফেলা মনের ভুল
আছো কোথাও অন্যে বিভোর
এই আমিটা  অপ্রতুল ।
এই আমিটা লিখে গেলো
গোপন কথা রুষ্ট দুঃখে
একলা আমার নিত্যসঙ্গী
সর্বংসহা ফেসবুকে। 

তুমি ভাগ্যবান

তোমার যদি ফ্রিজে খাবার থাকে, গায়ে কাপড় থাকে, মাথার ওপর ছাদ থাকে, রাত্তিরে ঘুমোবার জন্য জায়গা থাকে --- বুঝবে, গোটা পৃথিবীর ৭৫% লোকের চেয়ে তুমি ধনী। 


তোমার পকেটে যদি কিছু টাকা থাকে, কিছু ভাংতি থাকে আর তুমি তোমার মনমত যেখানে খুশি যেতে পার --- বুঝবে তুমি গোটা পৃথিবীর ১৮% বিত্তশালীদের একজন।


তুমি যদি সুস্থ-সবল-নিরোগ শরীর নিয়ে আজকের দিনটা বাঁচতে পার --- তাহলে বুঝবে তুমি পৃথিবীর সেই ১০ লক্ষ লোকের চাইতে সুখী যারা আগামীকাল বা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই মারা যাবে।

তুমি যদি আমার এই বার্তাটা পড়তে পার এবং এর অর্থও বুঝতে পার --- তারমানে তুমি সেই ৩০ লক্ষ মানুষের চেয়ে ভাগ্যবান যারা চোখে দেখতে পায় না বা মানসিক সমস্যায় ভোগে।

জীবনটা পাওয়া না পাওয়ার হিসেব মিলাবার স্থান নয়, অহেতুক অভিযোগের সময়কাল নয়। হাজারটা কারণে তোমার উচিত তোমার সৃষ্টিকর্তার ওপর কৃতজ্ঞ হওয়া। 

আসুন, আজ যে আমরা মানবজীবন লাভ করেছি, স্বাভাবিক জীবনযাপন করছি, এজন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি