এক্স রোটার‍্যাক্টর আদনান ভাই

এ হচ্ছে রোটার‍্যাক্টর শিপন, কম্যুনিটি সার্ভিস ডিরেক্টর। সুতরাং আপনি হাত পা টিপে নিতে পারেন নির্দ্বিধায়।
রাজশাহীর স্থানীয়- সুতরাং আম খাবেন বিনে পয়সায়।
পড়ে অ্যাকাউন্টিং এ- তবে ভয় নেই রোটার‍্যাক্টর শিপন নয় অতটা কৃপণ।

ওয়াও ওয়াও হর্ষধ্বনি মুখরিত সিলসিলা রেস্টুরেন্টের চত্বর। সবাই দারুণ উপভোগ করছিলো ক্লাব সার্ভিস ডিরেক্টর রোটা. সাজ্জাদের সবাইকে পরিচিত করে দেয়ার নাটকীয়তা। ক্লাব সার্ভিস ডিরেক্টর বলেই কি তার এই দক্ষতা? সত্যিই মাইন্ডব্লোয়িং। যে জন্য সবাই একত্রিত এবং পরিচয় বিনিময় তা হল আদনান ভাইয়ের আগমন। এক্স রোটার‍্যাক্টর আদনান ভাই। বিশাল ব্যবসায়ী। ব্যাবসার তাগিদে অল্প সময়ের জন্য রাজশাহী আসা।

কিন্তু এই অল্প সময়েও ক্লাবকে ভুলতে পারেন নি তিনি। ভালবাসার টানে ছুটে এসেছেন ক্লাবকে দেখতে, ক্লাবের সঙ্গি সারথিদের দেখতে। সম্ভবত এটাই ক্লাবের বড় সাফল্য। যেখানে সারা পৃথিবীর মানুষ বিচ্ছেদের মহামারিতে আক্রান্ত, সেখানে রোটার‍্যাক্টর ক্লাব গড়ে তুলছে মানুষে মানুষে এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। সেখানে নেই কোন জাতপাতের বালাই, নেই পূর্বসুত্রিতা। এই যে আদনান ভাই। ক্যাম্পাস ছেড়েছেন দেড় যুগ আগে। বয়সের পার্থক্য সবার সাথে গড়ে এক কুঁড়ি। কিন্তু কিসের তাগিদে উপযাচক হয়ে খোঁজখবর নেয়া। নাহ...বলা মুশকিল। শুধু হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হয়।  

ততক্ষণে চলে এসেছে সিঙ্গারা, পুরি, মিষ্টি, আর লেমন ডিউ। সব আদনান ভাইয়ের পক্ষ থেকে।
সবাই যেখানে বসে ছিল তার পিছনেই একটা অশ্বথ গাছ। এই গাছটা কালের সাক্ষী। কত গেস্টের আগমন ঘটেছে শুধু ক্লাবের ভালবাসায়, ওই শুধু জানে।

আদনান ভাইয়ের যাবার সময় হয়েছে। যাবার আগে তিনি আমাদের উদ্দ্যেশ্যে একটা কথাই বললেন, ‘এই যে তোমরা আমাকে যে অবস্থানে দেখছ, এর পিছনের শক্তি কিন্তু ক্লাবেই লুকিয়ে আছে। তোমাদের তা উদ্ধার করতে হবে। আর তা শুধুই ভালবেসে, নিবেদিত প্রাণ হয়ে। কোনো লোভের বশবর্তী হয়ে নয়।’

আদনান ভাই চলে গেলেন কালো রঙের বিএমডব্লিউ আয়েশি গাড়িতে চড়ে । রেখে গেলেন স্মৃতি, দিয়ে গেলেন ভালবাসা, প্রাণচাঞ্চল্য আর উদ্দামতা-যা সবার চোখে মুখে উদ্ভাসিত। 

No comments:

Post a Comment