ভূতত্ত্বের সপ্রতিভ ফরিদ

আজ যেমন করে গাইছে আকাশ / তেমনি করে গাও গো।
আজ যেমন করে চাইছে আকাশ/ তেমনি করে চাও গো ॥
আজ হাওয়া যেমন পাতায় পাতায় / মর্মরিয়া বনকে কাঁদায়
তেমনি আমার বুকের মাঝে/ কাঁদিয়া কাঁদাও গো ॥

সহপাঠিদের কাছে ফরিদ ছিলো ফড়িঙের মতো স্বপ্নাতুর। স্বপ্নের ভেলায় চড়ে বেড়াতো সকলকে নিয়ে। ইচ্ছেঘুড়ি ওড়ানো তাঁর পড়াশোনায় কখনও বাধা দেয়নি। বরং তাকে করে তুলেছে অনন্য। এবার তাই দেখে দিলো ফরিদ। 
ফরিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের ২০০৭-০৮ ব্যাচের ছাত্র। সম্প্রতি প্রকাশিত মাস্টার্স পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে। তাঁর এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। 
ফরিদের জন্ম মেহেরপুর জেলার মোজিবনগর থানার গোপালপুর গ্রামে। মা বাবা ও দুই ভাই মিলে ছোট্ট পরিবার। 

ভূতত্ত্বের মতো কঠিন একটা বিষয়ে পড়ে নিয়মিত অধ্যয়ন করে যে ভালো ফলাফল করা যায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ফরিদুল। আমি তার একটা সাক্ষাৎকার নিয়েছি । আশাকরি তা অনুজদের অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং নতুন কিছু করার পাথেয় হবে। সাক্ষাতকারটি হুবহু তুলে ধরা হলোঃ 
প্রশ্নঃ তোমার এই অর্জিত সাফল্যে তোমার অনুভূতি কী
ফরিদঃ  জীবনে ভালো কিছু অর্জন সব সময়ই আনন্দের । সত্যিকার অর্থেই আমি অনেক খুশি যা লিখে প্রকাশ করা মত না ।
প্রশ্নঃ ভালো ফলাফলে কাদের অবদান বেশি ছিলো বলে মনে করো
ফরিদঃ অবশ্যই মা বাবার অবদানের কথা সবার আগে স্বরণ করব। তাছাড়া নিজের প্রচেষ্টাতো ছিলই । পরিচিত কিছু সফল ব্যাক্তিদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি । আর সর্বশেষ যেসব বড় ভাই নোটপত্র দিয়ে সহায়তা করেছে তাদের কাছে আমি চিরঋণী কারণ জিওলজির সব বই সবসময় পাওয়া যায় না। 

প্রশ্নঃ শুধুই কী পড়াশোনানাকী পড়াশোনার ফাঁকেও কিছু করা 
ফরিদঃ মঞ্চ নাটকের প্রতি টান ছোট বেলা থেকেই । ইতোমধ্য আমার লেখা ৪ টা নাটক মঞ্চায়ন হয়েছে । আমি নিজেও অভিনয় করি শখের বসে । তাছাড়া আমাদের এলাকাই সবাই মিলে একটা পাবলিক লাইব্রেরী গড়ে তুলেছি যার পরিচালনা পরিষদের সদস্য আমি । এটা অনেক বড় হবে আমি আশাবাদী । 
প্রশ্নঃ তোমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী ? 
ফরিদঃ জিওলজির প্রতি ভাললাগাভালবাসা আছে তাই geology related কোন জব হলে খুশি হব আর Geology তে পিএইচডি  করার সুপ্ত বাসনা আছে হা হা হা ... ... 
প্রশ্নঃ কী স্বপ্ন দেখো
ফরিদঃ এদেশে একদিন সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে আর দূর্নীতি মুক্ত সোনার দেশ হবে ।
প্রশ্নঃ অনুজদের প্রতি কোনো উপদেশ 
ফরিদঃ এ বয়সে উপদেশ বড়ই বিরক্তিকর জানি তবু বলব-  নিজের পিতা মাতা যতই খারাপ হোক না কেন তাদের যেমন ঘৃণা করা যায়না তেমনি নিজের সাবজেক্ট নিয়েও হীনমন্যতাই ভুগে নিজেকে অপমানিত করা উচিত না। আর এ সাবজেক্টে চাকরি নাইচাকরি নাই করে সময় নষ্ট না করে সাবজেক্টিভ পড়াশুনার পাশাপাশি চাকরির পড়া পড়তে হবে। কারণ সবাইকে জিওলজিষ্ট হতে হবে এমন কোন কথা নেই। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে "যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে"
- ধন্যবাদ বন্ধু । 

- তোমাকেও ধন্যবাদ । 
ফরিদুলের ফেইসবুক ঠিকানাঃ ফরিদুল ইসলাম 

1 comment: